ঈদুল আজহায় এবার টানা ১০ দিনের লম্বা ছুটি। ৫ জুন থেকে শুরু হয়ে গেছে এ ছুটি। লম্বা এ ছুটিতে বদলে যাবে কক্সবাজার। ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটিতে এবার কক্সবাজার পর্যটকের ঢল নামবে বলে প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। পর্যটকের এ ঢল সামলাতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকেরা। ইতিমধ্যে অনেক হোটেলে-মোটেলে আগাম ৪ দিনের জন্য রুম বুকিং হয়ে গেছে।
তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের বিপণন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সোমেল বলেন, আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়বে। এর মধ্যে তারকা হোটেলগুলোতে ৫ থেকে ৮ জুনের রুম বুকিং নেই বললেই চলে। তবে ৯ থেকে ১৩ জুনের বুকিং আসছে বেশি। এসময় ৮০-৯০ শতাংশ বুকিং হবে বলে আশা করছি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাব ও ট্যুরস অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, ভ্রমণকালে ভোগান্তি এড়িয়ে নিরাপদ অবকাশ যাপনে পছন্দের হোটেল-মোটেল-কটেজে আগাম বুকিং দেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঈদুল আজহাতে তেমনটি হচ্ছে। বৃষ্টি-রোদের খেলায় কোরবানির ঈদেও পর্যটন ব্যবসা চাঙা হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সবার লক্ষ্য পর্যটকদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ৩ তরুণীর সঙ্গে কী করেছিল ৫ যুবক
এদিকে পর্যটকদের ভিড় সামলানো ও ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে গত ২০ মে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। সভায় ঈদের ছুটিতে যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় সেজন্য রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, পর্যটক বরণে আমরা প্রস্তুত। পর্যটকদের সেবা নিশ্চিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শহর ও আশপাশের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট-গেস্ট হাউজে দেড় লক্ষাধিক পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে হোটেল-মোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন, এখন হোটেল কক্ষ ভাড়ায় ৫০-৬০ শতাংশ ছাড় চললেও ঈদের ছুটিতে আর বেশি ছাড় থাকবে না।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ কবে
অন্যদিকে ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজার আসা পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ফোর্স মাঠে থাকবে।
যোগাযাগ করা হলে জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পর্যটকদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে সবধরনের পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম