অগ্রিম টাকার পুরোটা পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ায় এবার চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ এর বিরুদ্ধে। প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য না পাওয়ায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে ই-অরেঞ্জের সাতজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে মামলাটি দয়ের করেন নুরুল আবছার পারভেজ (৩৫) নামে এক গ্রাহক। তিনি চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী।
পারভেজসহ প্রতারিত ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মোর্শেদ সিকদার এবং মাহমুদুল হাসান খানের পক্ষে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে পারভেজ এ মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফাঁদ’ কম দামে ব্র্যান্ডের পণ্য, টোপ গিললেই সর্বনাশ
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে’র পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য কিনতে ই-অরেঞ্জকে অর্থ দেন এই গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের পর এখন পর্যন্ত তারা এসব গ্রাহকের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি।
অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও দুদিন আগে প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব।
আরও পড়ুন: পাবজি—ফ্রি ফায়ারের পর ক্ষতিকারক অন্যান্য অ্যাপও বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু
আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের ওই তিন গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা সহ কয়েক কোটি টাকা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
একই অভিযাগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতেও এর আগে সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লাতেও মামলা হয়েছে অভিন্ন অভিযোগে।
এসি