৫০ বছর পার করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুল। বর্ণিল আয়োজনে এ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে স্কুলটি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) স্কুল প্রাঙ্গনে যৌথভাবে এ আয়োজন করে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল), স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জি. শরীফ হাসনাত।
ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামলের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জি. আমির মাসুদ।
বক্তব্য রাখেন ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে ইঞ্জি. মো. ইমাম হোসেন ও শামসুজ্জামান এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মঈনুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে ইঞ্জি. শরীফ হাসনাত বলেন, ইআরএল শুধু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল শোধনাগার নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করে, শিক্ষা খাতে অবদান রেখেছিল। যেখান থেকে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হয়ে উঠছে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, মার্চেন্ট মেরিনার, সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিসিএস ক্যাডার। স্কুলের অনেক ছাত্র বিদেশে ভালো করছে।
তিনি বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুলের ৫০ বছর চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এ স্কুলকে কলেজে আপগ্রেড করার জন্য ইআরএলের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
বিপিসির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির মাসুদ বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি মডেল হাই স্কুলের উন্নয়নে বিপিসির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর অনেক শিক্ষার্থী দেশে ও বিদেশে তাদের পেশাগত জীবনে ভালো করছে।
দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বরণ, লাঞ্চ, নৈশভোজ ও স্মৃতি বিনিময় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে স্কুলটির দেশ-বিদেশের প্রায় দুহাজার সাবেক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) নগরের পতেঙ্গায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিল।
আলোকিত চট্টগ্রাম