‘ইভটিজিং নয়’—পরকীয়ার জেরেই তাণ্ডব চালায় কায়সার গ্রুপ, ছুরিতেই নারী রক্তাক্ত

আলোকিত চট্টগ্রামে ১১ সেপ্টেম্বর ‘ইভটিজিং’—রাতের আঁধারে লম্বা নাছির গ্রুপের তাণ্ডব, রক্তাক্ত ৩’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মো. নাছির প্রকাশ লম্বা নাছির। তিনি বলেন, বহদ্দারহাট-কালারপুল এলাকায় ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ভাঙচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডবের যে ঘটনা হয়েছে তা ইভটিজিং নয়, পরকীয়ায় জেরেই কায়সারের নেতৃত্বে সাব্বির, মহিসহ ১৫/২০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ তাণ্ডব চালিয়েছে।

এ সময় সশস্ত্র গ্রুপ পাঁচলাইশ থানার কালারপুর হাজী চান মিয়া রোডে খাজা গরীবে নেওয়াজ ভবনে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে আনতে গেলেই সংঘাত শুরু হয়। ওই নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকায় কায়সারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। কায়সারের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নাছির।

প্রতিবাদে বলা হয়, রাতের আঁধারে তাণ্ডব প্রতিহত করতেই ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে এলাকাবাসী। এ সময় এলাকার লোকজনের ‘ডাকাত’ চিৎকার শুনে প্রতিরোধে আমার পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আছে। কিন্তু আমার বয়োবৃদ্ধ মা শহর বানুর আঙুলে ছুরি চালায় কায়সার নিজেই। এতে আমার মা রক্তাক্ত হয়।

পরে আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। যারা আহত হয়েছে তারা সবাই পরকীয়ার প্রতিবাদকারী। অথচ প্রচার চালানো হয়েছে ‘ইভটিজিং’।

রাতের আঁধারে কায়সার গ্রুপ এই এলাকায় কেন, এটির অনুসন্ধানে বের করারও অনুরোধ জানান তিনি। নাছির বলেন, এ বিষয়ে সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বহদ্দারহাটের কায়সার, সাব্বির, মহি গ্রুপের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, তারা আমাকে (নাছির) নিয়ে সাজানো অপপ্রচার চালাচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, সরেজমিনে এলাকায় আসলেই প্রকৃত তথ্য জানাবে এলাকার লোকজন।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!