ইউপি নির্বাচন—রাঙ্গুনিয়া চকরিয়া পেকুয়ায় `বিদ্রোহীদের’ চমক

রাঙ্গুনিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে তারা হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের।

এদিকে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা একইসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সুবিধা পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে কোনো প্রার্থী দেয়নি।

রোববার (২৮ নভেম্বর) তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে ৩ জন ও বিদ্রোহী প্রার্থী ২ জন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৮ ইউপিতে বিনাভোটে নৌকা প্রতীকে ৮ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮ ইউনিয়নে শুধু সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: চকরিয়ায় নির্বাচন : নৌকায় ৬ নতুন মুখ, বাদ পড়লেন ৩ হেভিওয়েট চেয়ারম্যান

অন্যদিকে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ায় নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা সমানসংখ্যক আসনে জয়ী হয়েছেন।

চকরিয়ার উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৫টিতে নৌকা, ২টিতে স্বতন্ত্র ও ৩টিতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পেকুয়ার ৬ ইউপির মধ্যে নৌকা ১, বিদ্রোহী ১ ও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তবে বারবাকিয়া ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকায় এই ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

রাঙ্গুনিয়ার ৫ ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ার ৫টি, চকরিয়ার ১০টি ও পেকুয়ার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙ্গুনিয়ার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে-২ নম্বর হোচনাবাদ, বেতাগী, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর ও ১৫ নম্বর লালানগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়।

রাঙ্গুনিয়ার ৫ ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-২ নম্বর হোছনাবাদে আওয়ামী লীগের মো. দানু মিয়া, ৭ নম্বর বেতাগী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আলম শফি, ১৩ নম্বর ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, ১৪ নম্বর দক্ষিণ রাজানগরে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার, ১৫ নম্বর লালানগরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদার।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার রণক্ষেত্র—নির্বাচনি সংঘর্ষে যুবক খুন, পুলিশসহ রক্তাক্ত ১০

অন্যদিকে চকরিয়ার ১০ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে খম আওরঙ্গজেব বুলেট (নৌকা), ঢেমুশিয়ায় মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (নৌকা), পূর্ব বড় ভেওলায় ফারহানা আফরিন মুন্না (নৌকা), পশ্চিম বড় ভেওলাতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), বদরখালীতে নূরে হোছাইন আরিফ (নৌকা), সাহারবিল ইউনিয়নে নবী হোছাইন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাকারা ইউনিয়নে মো. সাহাবউদ্দিন (বিদ্রোহী), কোনাখালীতে দিদারুল হক সিকদার (বিদ্রোহী), ভেওলা মানিকচরে এসএম জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে মক্কী ইকবাল হোছাইন (স্বতন্ত্র)।

পেকুয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- পেকুয়া সদর ইউনিয়নে বাহাদুর শাহ (স্বতন্ত্র), রাজাখালী ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম সিকদার (নৌকা), উজানটিয়ায় তোফাজ্জল করিম (বিদ্রোহী), শিলখালী ইউনিয়নে এসএম কামাল হোছাইন (স্বতন্ত্র) এবং মগনামায় মো. ইউনুছ চৌধুরী (স্বতন্ত্র)।

মুকুল/মতিন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!