ইউএনও রহুল আমিনের স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি

হাটহাজারীতে সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তদন্ত কমিটির কথা বলা হয়।

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের প্রকৌশল দপ্তরের অফিস সহকারী নাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির এ অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটির আহ্বয়াক করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন প্রকৌশল অধিপ্তরের জয়শ্রী দে’কে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিমকে সদস্য সচিব এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তকর্তা শাহ মাইদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।

আরও পড়ুন: ইউএনও রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল, এক নাজিয়ার হাতেই জিম্মি প্রকৌশল দপ্তর

চিঠিতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরের উপজেলা রাজস্ব উদ্বৃত্তের (উন্নয়ন) আওতায় কাজের বিল পরিশোধে যে নথি উপস্থাপন করা হয়েছে তা পর্যালেচনা করে দেখা যায়, সাবেক উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের স্বাক্ষরটি তার নয়। এছাড়া স্বাক্ষর করা নথিটি সাবেক উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনকে দেখানো হলে তিনি স্বাক্ষরটি জাল বলে নিশ্চিত করেছেন। আর্থিক বিষয়ের নথির স্বাক্ষর জালিয়াতি খুবই উদ্বেগজনক। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা রুহুল আমিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, একটি প্রকল্পের বিলে আমার স্বাক্ষর জালের বিষয়টি জেনে খুবই আবাক হয়েছি। একজন অফিস সহকারী যদি একজন ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে বিল তোলার জন্য সহায়তা করে বিষয়টি কত বড় জালিয়াতি তা ভাবার বিষয়। আমার কাছে স্বাক্ষরের নথিটি পাঠানো হলে আমি স্বাক্ষরটি আমার নয় বলে নিশ্চিত করি। বাকি বিষয় তদন্তে উঠে আসবে বলে আমি মনে করি।

প্রসঙ্গত, ২ অক্টোবর ‘ইউএনও রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল, এক নাজিয়ার হাতেই জিম্মি প্রকৌশল দপ্তর’ শিরোনামে আলোকিত চট্টগ্রামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

সিএম/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!