প্রাণ ফিরেছে সাগরপাড়ে। দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। এতদিন ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা গহিরা উপকূল থেকে ছোট-বড় মিলে সাগরে মাছ ধরতে যায় প্রায় ৯১০টি নৌকা। এর মধ্যে উপজেলার জুঁইদন্ডি এলাকার ১১০টি, ফকিরহাট থেকে সরেঙ্গা পর্যন্ত ১৭০টি , পারকিতে ১৮টি, সব চেয়ে বড় ঘাট এলাকা উঠান মাঝির ঘাটে ২৮০টি নৌকা রয়েছে। অন্য নৌকাগুলো সাত্তার মাঝির ঘাট, গলাকাটা ঘাট, পিচের মাথা ও বাছা মাঝির ঘাট এলাকার। এসব নৌকা করে মাছ ধরতে যায় অন্তত ১০ হাজার জেলে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় উপজেলার রায়পুর, জুঁইদণ্ডি, গহিরা, বারশত, বরুমছড়া, বারখাইন ও হাইলধরের সাগরপাড়ে প্রাণ ফিরেছে। কয়েকজন জেলে জানান, তারা ২২ দিন ধরে মাছ শিকারে নামতে পারেননি। সংসারে অভাব-অনটন প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেকে আবার ঋণের জালে জর্জরিত। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে সাগরে নামতে পারায় তারা এখন খুশি।
এর আগে মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য গত ৭ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল।
উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকৃষ্ণ দাশ বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে নেমেছেন। আনোয়ারা উপজেলার ৬ ইউনিয়নে সাড়ে পাঁচ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। তাদের জন্য সরকারিভাবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোথাও তা দেওয়া হয়েছে ৯ কেজি, আবার কোথাও এরও কম।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আনোয়ারা উপজেলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২০ কেজি ইলিশ ও ১৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করে এতিমখানায় দেওয়া হয়। এবার গত ২০ দিনে অভিযান পরিচালিত হয় ৩৫টি।
চাল বরাদ্দের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা যে পরিমাণ চাল বরাদ্দ পেয়েছি তা ৬ ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম