চট্টগ্রামে এক লাফে করোনা শনাক্ত বেড়ে হয়েছে ৬৭ থেকে ২১৫। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি! এ ভয়ের মাঝেই চট্টগ্রামের নতুন আতঙ্ক করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।
চট্টগ্রামে ২ জনের শরীরে মিলেছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। অথচ তারা ভারতফেরত কারো সংস্পর্শে আসেননি! এদের একজন নগরের, অপরজন ফটিকছড়ির বাসিন্দা।
দেশে গত ৮ মে ভারতীয় ধরন শনাক্ত হলেও চট্টগ্রামে এবারই প্রথম ২ জনের শরীরে এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। যে ধরনের কারণে কাঁপছে পুরো ভারত এখন সেই ধরন মিলেছে চট্টগ্রামে! এর কমিউনিটি সংক্রমণও প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক ৭টি করোনা পরীক্ষাগারে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এ ধরনের তথ্য দিয়েছেন। বিশ্লেষণে ৩৩টি দক্ষিণ আফ্রিকার (বিটা), ৪টি যুক্তরাজ্যের (আলফা), ৩টি নাইজেরিয়ার (ইটা) এবং ২টি ভারতীয় (ডেলটা) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। চবির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানান গবেষকরা।
গবেষণাপ্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক অ্যান্ড প্রোটিওমিক্স ল্যাবরেটরির অধ্যাপক ড. মো. আল ফোরকান বলেন, চট্টগ্রামেও দু’জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন নগরের এবং অপরজন ফটিকছড়ির বাসিন্দা। তবে ফটিকছড়ির রোগীর খোঁজ পাওয়া গেলেও অন্যজনকে পাওয়া যায়নি এখনো।
গবেষক দলের সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুযত পাল বলেন, গবেষণার কাজটি চ্যালেঞ্জিং ও ব্যয়বহুল। তবে এ গবেষণার ফলে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানা যাবে।
তবে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। দ্রুত এটির নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আরেক গবেষক, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।
এখনো পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্ট। যেটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘বি.১.৬১৭’। টিকা দেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটিও এই ভাইরাসটিকে সহজে নিষ্ক্রিয় করতে পারে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এই ধরনটিকে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আলোকিত চট্টগ্রাম