বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের এখন একটাই কাজ। আর সেটা হলো সাধারণ জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া। আজ আমরা এখানে এক হয়েছি একটাই দাবি নিয়ে, তা হলো এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে দেশে সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। এরা কী চাকরি দিবে, এরা তো ২০-২৫ লাখ টাকা ঘুষ ছাড়া একটা চাকরিও দেয় না। চাকরির জন্য এখন আওয়ামী লীগের সিগনেচার লাগে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, গুম-হত্যা-মামলা-হামলার প্রতিবাদ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই গণসমাবেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে আমরা তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেব। যেন আগামীতে এই সরকারকে পরাজিত করে আমরা জয়ী হতে পারি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার—আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা
নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, পলোগ্রাউন্ডের এই জনসমুদ্রের আজ একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমাদের আরেকটি দাবি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সসম্মানে দেশে ফেরা। আগামী ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার সরকারই দেশ চালাবে। এখন যারা আওয়ামী ট্যাগ নিয়ে লুটপাট করছে তাদের সেদিনের পর আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না।
এদিকে গণসমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকে নগরজুড়ে ছিল শঙ্কা ও উত্তেজনা। সমাবেশে অপ্রীতিকর ঘটনার পাল্টা জবাবের ঘোষণার পাশাপাশি প্রায় দশ লাখ লোকের সমাগম হওয়ার কথা জানিয়েছিল বিএনপির একাধিক নেতা। তবে সমাবেশে সেই দশ লাখের পরিবর্তে প্রায় বিশ থেকে তিরিশ হাজারের মতো নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। এর কারণ হিসেবে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও দুপুরের তপ্ত রোদকেই দায়ী করেন একাধিক স্থানীয় নেতা।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্করের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার ও এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবুর রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী।