দামপাড়ার বাসায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতা—১ ঘণ্টার বৈঠকে যে কারণে আড়াই ঘণ্টা দেরি

২২ ওয়ার্ড নেতারাও ছিলেন বৈঠকে

বহদ্দারহাটের বাসার পর এবার নগর আওয়ামী লীগের ৬ নেতা গেলেন দামপাড়ার জহুর আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু কথা থাকলেও বৈঠক শুরু হয় রাত সাড়ে আটটায়। এরপর টানা এক ঘণ্টা চলে বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ২২ ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও।

ইউনিট সম্মেলন নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুই বলয়ের দ্বন্দ্ব নিরসনে করা রিভিউ কমিটির এটি দ্বিতীয় বৈঠক।

আজ ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর (জহুর আহমেদ চৌধুরীর সন্তান) বাসায় রিভিউ কমিটির এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তিনি নিজেই।

আরও পড়ুন: নওফেল ‘না’ বলতেই কড়া ‘আপত্তি’ নাছিরের

সন্ধ্যা ৬টার আগেই মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বাড়িতে পৌঁছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জহুরুল আলম দোভাষ, ৭টা ৪৫ মিনিটে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং রাত ৮ টা ২২ মিনিটে পৌঁছেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তিন নেতা নির্ধারিত সময়ে না আসায় বৈঠক শুরু হয় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে।

এর আগে ২১ জানুয়ারি রিভিউ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িতে।

আরও পড়ুন: ‘রাতের বৈঠক’—নগর আওয়ামী লীগের ৬ নেতা বহদ্দারহাটের বাসায়

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিরোধ মীমাংসায় ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের পাশাপাশি সহসভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদকদেরও ডাকা হয়।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

তবে অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি নগর আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি ডা. আফসারুল আমিন চৌধুরী এমপি ও নুরুল ইসলাম বিএসসি।

এদিকে বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের দুই সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাংসদ এমএ লতিফও উপস্থিত ছিলেন। নগরের জনপ্রতিনিধির হওয়ায় তাঁদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা খান এমপি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, সুনীল সরকার ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও বদিউল আলম।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!