আইসিইউ খুঁজতে খুঁজতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শ্রমিক নেতা

শ্রমিক নেতা মকবুল আহমেদ (৮২) কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন নগরের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে৷

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ভোরে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার জন্য বলেন।

তাঁর ছেলে ব্যবসায়ী আহমেদ রহিম ও স্বজনরা নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, সিএসসিআর হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইউএসটিসি হাসপাতালসহ ১২টি হাসপাতালে ঘোরেন। কিন্তু তাঁর জন্য জোগাড় করতে পারেননি একটি আইসিইউ সিট। সকাল ৯টায় মকবুল আহমেদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা: এক ল্যাবে ৬২ শতাংশের বেশি, আরেক ল্যাবে ১ শতাংশেরও কম

মকবুল আহমেদের পরিচিত সাংবাদিক জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, তিনি (মকবুল আহমেদ) বেশ কয়েকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে তাকে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পুরো শহরের সব হাসপাতাল ঘুরেও একটি আইসিইউ সিট জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। একইদিন আছরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপ প্রতিদিন বাড়ছে। সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, ‘সিট খালি’ পাওয়ার আশায় আইসিইউর সামনে বসে থাকছেন রোগীর স্বজনরা। কেউ ছুটছেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৭৭৭ নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১২ জন নগরের এবং ৪০২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

একইসময়ে মারা গেছেন ১৭ জন করোনা রোগী। এরমধ্যে নগরের ৮ জন ও উপজেলার ৯ জন।

চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৮৮ হাজার ৬৬০ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সিএম/জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!