অস্থির জনজীবন—গরমের তীব্রতা থাকবে অন্তত ২ দিন
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিন দিন বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এমন পরিস্থিতিতে সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিসও। আরও অন্তত দু’দিন গরমের তীব্রতা থাকবে- বলছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, আগামী ২২ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে ২৫ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত।
এদিকে ভ্যাপসা গরমের কারণে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টটা বেশি। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেক শ্রমজীবী খুঁজে নিচ্ছেন গাছের ছায়াতল কিংবা শীতল কোনো স্থান।
আবার প্রশান্তির জন্য শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সময় পার করছে। কাজের সূত্রে রোদ উপেক্ষো করে বের হওয়া মানুষেরা তৃষ্ণা নিবারণ করছেন রাস্তায় বিক্রি হওয়া শরবত পানে।
অন্যদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগ। ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।
আবহাওয়াবিদরা জানান, মূলত ২২ মে’র পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। কারণ তখন বৃষ্টি বাড়বে। তবে আগামী ২৫ থেকে ২৬ তারিখের (মে) দিকে বৃষ্টিটা আরও জোরালো হবে। এছাড়া আগামী ২২ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার কথা। যদিও সেটি ভারতে যায়, এর থেকে যে মেঘ হবে সেটা থেকে বাংলাদেশে কিছু বৃষ্টি হবে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে সেটি পর্যবেক্ষণ করে বলা যাবে তা আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি-না।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা জানান, ‘গতকালের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ (বৃহস্পতিবার) আরও কিছুটা কমতে পারে।’
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গাসহ ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহীতে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আলোকিত চট্টগ্রাম