অর্জুন জীবিত—আদালতেই প্রমাণ মিলল, নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে অর্জুন চন্দ্র দাশকে অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ রোববার (২৪ অক্টোবর) শুনানি শেষে অর্জুন চন্দ্র দাশকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আদেশ দেন।

জানা গেছে, ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে (মেম্বার) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অর্জুন চন্দ্র দাশ। নির্বাচনি এলাকার ভোটার তালিকার কপি (সিডি) সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন সেখানে তিনি মৃত। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন অর্জুন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র জমা নিলেও ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ২১অক্টোবর তা বাতিল করেন। পরে অর্জুন প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন : স্বামীর যৌতুক মামলায়—বৌয়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠন আদালতে

মিরসরাই উপজেলার ধুম (৪ নম্বর) ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ধুম গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাশের ছেলে অর্জুন চন্দ্র দাশ। নির্বাচনে অংশ নিতে ১০ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে নির্বাচনি এলাকার ভোটার তালিকার কপি সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন তালিকায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ তিনি মারা গেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। ধুম ইউনিয়নের ধুম গ্রামের (৯ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ) তালিকায় ৩৩৫ নম্বর সিরিয়াল কর্তন করা হয়েছে লেখা আছে। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অর্জুন নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানান।

অর্জুন চন্দ্র দাশ আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র, ট্যাক্স আদায়ের রশিদ ও ব্যাংক একাউন্টে জীবিত লেখা রয়েছে। আমি সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। শুধু তা নয় ২০১৭-২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য ভিসা নিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া করেছি। অথচ ভোটার তালিকায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আমি মারা গেছি উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আমি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে হাইকোর্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের আদেশ দেন।

হাইকোর্টে অর্জুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোছাইন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অর্জুন চন্দ্র দাশের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়। হাইকোর্টের কোনো আদেশ এখনো আমার কাছে আসেনি। আদেশের কপি হাতে এলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজিজ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!